প্রেমিকা থাকলে দিতে হয় ট্যাক্স। মানে Bachelor Tax। পৃথিবীতে এমন দেশ আজও আছে। সাধারণত, জিনিস কিনলে বেচলে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়। কোথাও কোথাও জলের বা বিদ্যুতের জন্য কর লাগে, কোথাও রোড ট্যাক্স লাগে। এসবের তবু একটা অর্থ বোঝা যায়। একটা দেশের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি করতে যে বিপুল খরচপাতি সরকারের হয় সেটাই সরকার তার দেশের অর্থবান মানুষের কাছ থেকে কর হিসেবে নেয়। কিন্তু তাই বলে প্রেমিকা না থাকলেও কর? হ্যাঁ, এ দেশে আপনার একখান প্রেমিকা না থাকলে আপনাকে রীতিমতো ট্যাঁকের কড়ি ফেলতে হবে সরকারের ভাঁড়ারে। ভাবছেন, গাঁজাখুরি গল্প? মোটেই না! এ একেবারে ঘোর বাস্তব।
কোথায় এই আজব দেশ ?
এই ট্যাক্স দেওয়ার রীতি রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে। এখানে প্রেমিকা না থাকলে যে কোনও অপ্রেমী বা অবিবাহিত বা নারীসঙ্গহীন পুরুষকে ট্যাক্স দিতে হয় সরকারকে। প্রেমিকা বা বান্ধবী না থাকলে ২১-৫০ বছর বয়সি পুরুষকে গাঁটের কড়ি গুনতে হয় এ দেশে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরিতে এই নিয়ম চালু। প্রত্যেক অবিবাহিত পুরুষকে সেখানে সরকারকে বছরে দিতে হয় ১ ডলার করে ট্যাক্স। এই ট্যাক্স দেওয়ার বিধি অবশ্য হালে শুরু হয়নি। হয়েছে ২০০ বছর আগে। এই ট্যাক্স নেওয়া শুরু হয় ১৮২১ সালে। তারপর থেকেই চলছে।
কিন্তু কেন সেদেশ পুরুষদের থেকে এরকম একটা ট্যাক্স নেওয়া শুরু হল?
আসলে সব দেশেই এমন অনেক পুরুষ থাকেন, যাঁরা বিয়ে করতে চান না, এমনকী প্রেমেও ধরা দিতে চান না। নারীসঙ্গবিবর্জিত এক জীবনই যাপন করেন তাঁরা। তা হলে তো দেশের জনসংখ্যা তলানিতে গিয়ে ঠেকবে! তখন কী হবে? সেটা আটকাতে গিয়েই সরকার এরকম ট্যাক্সের কথা ভেবেছে। এর ফলে কিছু পুরুষ অন্তত নিজেদের মত পরিবর্তনও করতে পারেন।
তবে এমন নয় যে, এই অবাক-করা ট্যাক্স মিসৌরিতেই প্রথম নেওয়া শুরু হয়েছিল। এই ধরনের ট্যাক্সের কথা প্রথম ঘোষণা করেন জুলিয়াস সিজার। এই ধরনের ট্যাক্স নেওয়ার বিধি ছিল রাশিয়াতেও। ছিল ইটালিতেও। ইটালিতে এই করবিধি চালু করেন মুসোলিনি।