ওই যে কথাতেই আছে না – পিড়িতে মজিলে মন, কিবা হাড়ি কিবা ডোম – সেই রকমই অবস্থা হয়েছে এক তরুণীর। জীবনসঙ্গী হিসাবে সমবয়সি বা নিজের বয়সের ধারকাছে কোনও পুরুষকে পছন্দ না করে একেবারে দাদুর বয়সি কিংবা তারও বেশি বয়সের ভালোবেসে বিয়ে করে ফেলেছেন মিসিসিপির বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সি মিরাকেল পোগ (Miracle Pogue)। এবং শুধু প্রেম করাই নয়, স্বামীর বয়সের তোয়াক্কা না করে তিনি আবার সন্তানও পেটে ধরতে চাইছেন।
আসলে মিরাকেল (Miracle Pogue) জীবনে যত বারই প্রেম এসেছে, তাঁদের সকলের বয়সই ছিল তাঁর দ্বিগুণের বেশি। তবে বিভিন্ন কারণে সে প্রেম অতীত হয়ে গিয়েছে। তবে সম্প্রতি মিরাকেল সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন ৮৫ বছর বয়সি চার্লসের (Charles) সঙ্গে। ২০১৯ সালে কাজের সূত্রে চার্লসের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তার পর বন্ধুত্ব, ধীরে ধীরে শুরু হয় মন দেওয়া-নেওয়া। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেম প্রস্তাব দেন মিরাকেলকে। অত্যন্ত খুশি হয়েই সে প্রস্তাব গ্রহণ করেন তিনি। তার পর থেকেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
তখনই বিয়ে করার ইচ্ছা থাকলেও পারিবারিক কিছু জটিলতার কারণে তা হয়ে ওঠেনি। মিরাকেলের বাবা-মা চাননি ৬২ বছরের ব়ড় এক জনের সঙ্গে তাঁদের একমাত্র সন্তান বাকি জীবনটা কাটাক। চার্লস (Charles) মিরাকেলের দাদুর থেকেও বয়সে কিছুটা বড়। কিন্তু কোনও বাধা মিরাকেল আর চার্লসকে আলাদা করতে পারেনি। দু’বছর একসঙ্গে থাকার পর সম্প্রতি আইনি মতে বিয়ে সারলেন তাঁরা। বাবা-মায়ের আপত্তি থাকলেও মিরাকেলের ৭২ বছর বয়সি ঠাকুরদার পূর্ণ সম্মতি ছিল এই বিয়েতে। তিনিই দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিয়েছেন। মিরাকেল (Miracle Pogue) বলেন, ‘‘চার্লসের বয়স ১০০ হোক বা ৫৫, আমার কিছু যায় আসে না। আমি চার্লসকে ভালবাসি। ওর সঙ্গে সারা জীবন থাকতে চাই। মানসিক ভাবে তো বটেই, চার্লস শারীরিক ভাবেও যথেষ্ট চাঙ্গা। আমরা মা-বাবা হওয়ার পরিকল্পনাও করছি।’’
চার্লসের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। তিনি আর সে সব দেখাশোনা করেন না। চার্লসের কথায়, ‘‘আমি এই মুহূর্তে জীবনের সবচেয়ে ভাল সময় কাটাচ্ছি। মিরাকেল আমার জীবনে সৌভাগ্য হয়ে এসেছে। ও ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ।’’