Love বা প্রেম। শব্দটির মধ্যেই যেন লুকিয়ে আছে প্রেমে পড়লে কি হয় (What is Love) এর উত্তর। প্রেম মানেই এক অজানা আনন্দ-অনুভূতির রহস্য। প্রেম মানে স্বর্গীয় অনুভূতি। জীবনে সুখ স্পর্শ। বৈষ্ণব সাহিত্যে এই প্রেমকে সবার ওপরে রেখে এক অন্য উচ্চতা দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা এই প্রতিবেদনে কোনও তাত্ত্বিক আলোচনায় না গিয়ে সাধারণ জীবনের যে প্রেম তা নিয়েই আলোচনা করব।

প্রেম কারে কয় (What is Love)? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো সবাই দিতে পারবেন। কিন্তু প্রেমে পড়লে কি হয় – এই প্রশ্নের উত্তর তাঁরাই দিতে পারবেন যাঁরা কিনা সত্যিকারের প্রেমে পড়েছেন। প্রেমে পড়েননি এমন লোক নিশ্চয় খুব কমই রয়েছে। সবাই কখনও না কখনও কারও না কারও প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু সেটা হয়তো সব সময় স্বীকার করা হয়নি। কিংবা পরিস্থিতির দায়ে পাত্তা দেওয়া হয়নি। ফলে কেউ যদি বুক ঠুকে এটা দাবি করেন যে জীবনে কখনও প্রেমই করেননি – তাহলে নির্ঘাত মিথ্যা কথা বলছেন।

প্রেমে পড়লে কি হয় (What is Love)

যাঁরা এই দলে রয়েছেন, তাঁরাই দেখবেন এই প্রশ্নটা বেশি করে তোলে যে – প্রেমে পড়লে কি হয়? অনেক সময় বিজ্ঞের মতো অনেককে আবার একথাও বলতে শোনা যায়, ‘আরে প্রেম হচ্ছে মানসিক বিকার। শারীরিক টান। অনেকটা নেশার মতো। যা এক সময় কেটে যায়।’ আবার অনেক রসিক ব্যক্তি তো প্রেমকে কাঁঠালের আঠার সঙ্গেও তুলনা করেছেন। বলেছেন, ‘লাগলে না কি ছোটে না।’

তা প্রেমে পড়লে কি সত্যিই কিছু হয়? মানে শরীর কিংবা মনে কি অন্যকিছু ঘটে? যাঁরা প্রেমে পড়েছেন তাঁরা নিশ্চয় এর উত্তরে বলবেন, ঘটেই তো। প্রেমে পড়লে মন উড়ু উড়ু করে। সারা পৃথিবীটা রঙিন মনে হয়। মনে হয় পৃথিবীতে দুঃখ-কষ্ট বলে কিছু নেই। রোদ-বৃষ্টি বলে কিছু নেই। ঠান্ডা-গরম বলে কিছু নেই। পাপ-পূণ্য, আলো-অন্ধকার, গরীব-বড়লোক, খিদে-মাথাব্যথা – কিছুই যেন থাকে না। চোখের সামনে শুধু বসন্ত, বসন্তের কোকিল, বসন্তকালের বাগান ভরানো ফুলের বাগান – এই সবই নজরে পড়ে। আর নজরে সারাক্ষণ ভেসে বেড়ায় প্রিয়ার মুখ, প্রিয়ার সুন্দর হাসি, চোখের ইশারা, ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি। সারাক্ষণ যেন একটা মায়াবী সুগন্ধ আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়ায়। স্বর্গকে বুঝি এই প্রেমের অনুভূতি থেকেই কল্পনা করা হয়েছে। তো সেই স্বর্গীয় অনুভূতিই দেয় প্রেম।

কিন্তু তত্ত্ববাগিশরা প্রশ্ন তুলবেন, আরে এ আর আশ্চর্য কি! একই জিনিস একটা বোতল ফিনিস করার পর পাড়ার বিহারী রিক্সাওয়ালাটা কিংবা গাঁজাখোর টেরিকাটা ছেলেটাও পায়। তাবলে কি তারাও প্রেমে পড়েছে না কি? উত্তরে বলতে হয়, অবশ্যই তারাও প্রেমে পড়েছে। তারা মদ আর গাঁজার প্রেমে পড়েছে। তবে এই প্রেম সেই প্রেম নয়। এই প্রেম হল আসক্তি। নেশা। তাহলে আসল প্রেম হলে কি হয়? এতই যখন প্রশ্ন তখন বিজ্ঞানের ভাষাতেই তত্ত্ববাগিশদের বোঝাতে হয়। দেখে নেওয়া যাক প্রেমের অনুভূতি নিয়ে গবেষণা কি বলে –

প্রেমে পড়লে কি হয়, কী বলছেন গবেষকরা

কিছুদিন আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি খ্যাতনামা সংবাদপত্র এই প্রশ্নটি নিয়েই হাজির হয়েছিলেন একদল গবেষকদের কাছে। ‘মাই ব্রেস্ট’ নামের সংস্থার ওই গবেষকরা মানুষের মনস্তাত্বিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেন। গবেষকদের মতে, বর্ধিত হৃদস্পন্দন, ঘর্মাক্ত মুখমন্ডল এবং ক্ষুধামান্দ্য-এসব কিছুই একজন মানুষের প্রেমে পড়ার লক্ষণ। ভালোবাসা বলতে শুধু অবিরাম একটি সম্পর্কে জড়ানোকেই বুঝায় না। সেখানে বিভিন্ন রাসায়ন, নিউরন এবং হরমোন অনুক্রমে একসঙ্গে কাজ করে যা আমাদেরকে অন্য কারো প্রতি আসক্ত হতে সাহায্য করে।

‘মাই ব্রেস্ট’ এর গবেষকদের মতে, ‘প্রেম একটি শক্তিশালী আবেগ যা মানুষ অনুভব করে। তবে এই অনুভূতির কারণ সবচেয়ে রহস্যময়। তার প্রকৃত কারণ এখনও অধরা রয়ে গেছে। তবে শরীরের হরমোন এবং অণুর সমন্বয় সম্পর্কের তিনটি পর্যায়-কাম, আকর্ষণ এবং সংযুক্তি, যা আমাদের প্রেমে গাইডলাইন হিসেবে কাজ করে। এবং প্রতিটি ধাপেই আলাদা আলাদা রসায়ন কাজ করে। যা আমাদের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এবং আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার পিছনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে।’

গবেষকদের মতে, ইতিহাসের প্রতিটি প্রেম কাহিনির পিছনে ডোপামিন নামে এক ধরনের রাসায়নিকের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যা  আসলে মানুষের মস্তিষ্ক ও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি হতে উৎপাদিত হয়। আধুনিক মনোবিদ্যা অনুযায়ী, এই রাসায়নিক উপাদান হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। শরীরের অনেক অঙ্গ, ঘাম গ্রন্থি এবং অঙ্গকে প্রভাবিত করে। আর সেই কারণেই যাঁকে আপনার ভালো লাগে মানে প্রেম করেন, প্রথম প্রথম তাঁর সঙ্গে দেখা হলেই ঘেমে উঠতে দেখা যায়। গলা শুকিয়ে যেতে দেখা যায়। এই সব ঘটে কারণ ডোপোমিন নামে হরমোন তখন আপনার শরীরে প্রবাহিত হয়ে খেলা করে। 

গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ডোপোমিন শরীরে তৈরি হলে এরপর আরেক হরমোন সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর সেই হরমোনের নাম  টেস্টোস্টেরন। আপনার শরীরের যে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি ডোপোমিন বানায় সেই টেস্টোস্টেরনও বানায়। এবং এই টেস্টোস্টেরনই নারী-পুরুষের মনে যৌন ইচ্ছা বা কামনা তৈরি করে। তাহলেই বুঝতে পারছেন, কেন একজনকে ভালো লাগলে তারপরই তাঁকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছা প্রবল হতে শুরু করে।  

গবেষকদের কথায়, ‘যখন দু’জন মানুষ একে অপরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে তখন এই ডোপোমিন এবং টেস্টোস্টেরনের ককটেলের ফলে শরীর চনমনে হয়ে ওঠে। এবং উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। যারফলে একে ওপরকে ভালোলাগা নারী-পুরুষটির কাছাকাছি হওয়ার ইচ্ছাও বৃদ্ধি পায়।’ গোদা বাংলায়, ডোপোমিন ও টেস্টোস্টেরনের ককটেল প্রেমের নেশা তৈরি করে। এবং সেই নেশার চোটে আপনি চোখে বসন্ত, কানে কোকিলের ডাক শুনতে শুরু করেন। আর একেই বলে প্রেম। কী, বুঝলেন তো?

প্রেমে পড়লে কি হয়, প্রেমের লক্ষন

এরপরেও যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে প্রেমে পড়েছেন কি না, তাহলে কয়েকটি লক্ষন আপনাকে বলছি। এগুলো একটু মিলিয়ে দেখবেন। যদি অন্য কাউকে পরীক্ষা করতে চান, তাহলেও করতে পারেন। প্রেমে পড়ার প্রথম লক্ষন হল

চোখের ঘুম উড়ে যায়

প্রেমে পড়লে নির্ঘাত ঘুম আসবে না। ঘুম আসতেই চাইবে না। আপনি চোখবন্ধ করলেই প্রিয়া বা প্রিয়র মুখ দেখতে পাবেন। তাঁর কথা কানে বাজবে। মন প্রিয় বা প্রিয়ার আশে-পাশেই হুটোপুটি খাবে। যেমনটা পোষা বিড়াল মানুষের পায়ের কাছে লুটোপুটি খায় ঠিক সেই রকম।


এই তথ্য একটি সমীক্ষায় পাওয়া গিয়েছে যে, প্রেমে পড়লে অন্তত পক্ষে ১ ঘণ্টা রাতের ঘুম কমে যায়। জার্নাল অফ অ্যাডোলেসেন্ট হেলথে প্রকাশিত হয়েছিল গবেষণাটি। গবেষণাটিতে এর কারণ হিসেবে বলা হয়, রাতে ঘুমাতে গেলেই মনে মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রিয় মানুষটির কথা সবচাইতে বেশি মনে পড়তে থাকে এবং শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত হতে পারে না শরীর। যার কারণে ঘুমাতে দেরি হয়ে যায়।

প্রেমে পড়লে মানুষ ‘ভুলোমনা’ হয়ে যায়


মানুষ প্রেমে পড়লে সে সব কিছু ভুলে যাওয়া শুরু করে৷ এজন্য দায়ী অবশ্য অক্সিটসিন হরমোন। প্রেমে পড়লে মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে অক্সিটসিন হরমোন উৎপন্ন হয়, যা স্মৃতিশক্তি কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। আর তাই প্রেমে পড়লে মানুষ কিছুটা ভুলোমনা ও অন্যমনষ্ক হয়ে যায়।

প্রেমে পড়লে মানুয়ের খাবারের ‘স্বাদ বেশি লাগে’


মজার বিষয় হলো প্রেমে পড়লে না কি বলে খাবারের স্বাদও বেশি লাগে। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, যারা নাকি নতুন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাদের কাছে সব খাবারের স্বাদই অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই লাগছে।

প্রেমে পড়লে মানুয়ের ‘মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিবর্তিত হয়ে যায়’


প্রেমে পড়ার বিষয়টি নাকি মস্তিষ্কের ১২টি স্থানে গিয়ে আঘাত করে। এ কারণে প্রেমে পড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। প্রেমে পড়লে মস্তিষ্ক সব সময়ে যেভাবে চিন্তা করেছে, সেভাবে চিন্তা করতে পারবে না। প্রেমে পড়ার পরে অনেক বিষয়ই আবেগ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হবে তখন।

প্রেমে পড়লে ‘শরীরের নানান ব্যথা কমে যায়’


প্রেমে পড়লে মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা সেরে যায়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অফ মেডিসিনের একটি গবেষণায় এ তথ্য বলা হয়েছে। সেখানে আরো বলা হয়েছে যে, ভালোবাসা মস্তিষ্কের নিউরাল রিসেপটরের কার্যকারিতা বাড়িয়ে ব্যাথার অনুভূতি কমিয়ে দেয়। বিজ্ঞানীরা তাই ভালোবাসাকে ব্যথার ওষুধ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

প্রেমে পড়লে ‘হৃৎপিণ্ডের গতি পরিবর্তিত হয়ে যায়’


প্রেমে পড়লে নাকি শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। আর হরমোনের এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপও কমে যায়। সেই সঙ্গে কমে যায় হৃৎপিন্ডের গতিও। বিশেষ করে ভালোবাসার প্রিয় মানুষটির আশেপাশে থাকলে এই পরিবর্তনটা বেশি ঘটে থাকে।

প্রেমে পড়লে কিংবা কাউকে ভালোবাসলে অধিকাংশ ছেলেই কিন্তু মন খুলে কথা বলতে পারেন না। এমনকী পছন্দের জনকে গিয়ে জানাতেও পারেন না যে তাঁরা প্রেমে পড়েছেন। ছেলেদের বরাবরই এক্সপ্রেশন একটু খুব। খুশি কিংবা আনন্দ কোনওটাই কিন্তু ঠিক করে প্রকাশ করতে পারেন না। তবে প্রেমে পড়লে মেয়েদের মতো ছেলেদের মধ্যেও বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। তবে ঠিকমতো খেয়াল রাখলে তবেই কিন্তু আপনি বুঝতে পারবেন।ধরা যাক, কোনও ছেলের কাউকে বিশেষ পছন্দ হয়েছে।

আর তাঁর সঙ্গে আলাপ সোশ্যাল মিডিয়াতেই। আপনি তখন নিজেও হয়তো জানেন না যে ছেলেটি আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন সব ছবিতেই লাইক, সেই সঙ্গে বন্ধু থেকে আত্মীয় সবাইকে ডেকে ডেকে আপনার ছবিই দেখাচ্ছে। আপনার ভাই-দাদারাও কি সম্প্রতি এমন কাণ্ড করছেন? তাহলে তক্কে তক্কে থাকুন এবং জেনে রাখুন তাঁরা নির্ঘাত প্রেমে পড়েছেন। এছাড়াও প্রেমে পড়লে ছেলেদের মধ্যে যে সব পরিবর্তন আসে

একটু বেশিই সচেতন হয়ে যান

ছেলেরা প্রেমে পড়লে কিন্তু নিজেদের সাজ, পোশাক নিয়ে একটু বেশিই সচেতন হয়ে যান। এমনকী নিজের আচার আচরণে পরিবর্তন এনে মেয়েদের অমপ্রেস করার চেষ্টা করেন।


সম্পর্ককে সুন্দর রাখার চেষ্টা করেন 

প্রেমে পড়লে সব মানুষের মনের মধ্যেই কম বেশি পরিবর্তন আসে। আর ছেলেরা প্রেমে পড়লে একটু বেশিই বুঝদার হয়ে যান। সেই সঙ্গে সম্পর্ককে সুন্দর রাখার চেষ্টা করেন। একটা উষ্ণ অর্ভ্যথনা থাকে তাঁদের ব্যবহারে।


অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেন

একরোখা মনভাব ছেলেদের মধ্যে বরাবর বেশি। নিজের মত ছাড়া অন্য কাউকে তেমন পাত্তাও দেন না। কিন্তু প্রেমে পড়লে লোকের মন তো একটু নরম হয়ে যায়। আর তাই প্রেম করার সময় ছেলেরা কিন্তু মন দিয়ে অন্যের উপদেশ শোনেন।

অযথা কাউকে আঘাত করেন না

 ছেলেরা প্রেমে পড়লে অযথা কাউকে আঘাত দিয়ে কথা বলেন না। প্রেয়সীকে তো একেবারেই না। বরং তাঁর প্রতি আরও বেশি যত্নশীল হয়ে ওঠেন। একমাত্র ছেলেরা প্রেমে পড়লেই কিন্তু এত সুন্দর করে সকলের খেয়াল রাখেন।

প্রেমে পড়লে কি হয়, ছেলেদের ক্ষেত্রে


এই যে এতগুলো প্রেমের লক্ষন বললাম, এখানে অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন – নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে ব্যাপারগুলো কি সমান হবে? উমমম – বেশিরভাগই হবে। কিন্তু কিছুকিছু ক্ষেত্রে হালকা ফারাক থাকবে। সেই ফারকগুলোও বলতে হবে না কি? বেশ বলছি –

১। যদি কোনো পুরুষরা প্রেমে পড়েন, তাহলে সে তার সঙ্গীর প্রেমে পাগল হয়ে যান। এ কারণে কখনো তার সঙ্গীর কোনো খুঁত চোখে পড়ে না। এমনকি সঙ্গী যদি শারীরিকভাবে অক্ষমও হয়ে থাকেন; তবুও পাগলের মতো ভালোবাসতে জানেন পুরুষরা।

২। পুরুষরা প্রেমে পড়লে অত্যাধিক আনন্দ অনুভব করেন। দেখবেন, লাফাতে শুরু করে। একইভাবে বেশি পরিমাণে ডোপামিন হরমোন নিঃসরণের ফলে পুরুষরা তাদের সঙ্গীর প্রতি খুব সহজেই আকৃষ্ট হন। এমনকি সঙ্গীর সামনে থাকলে তাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং হাত-পায়ের তালুতে ঘাম ঝরে।

৩। সম্পর্কে সবসময় ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন পুরুষরা। বিশেষ করে প্রেমে পড়লে পুরুষের মধ্যে সঙ্গী সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা এবং অনুভূতি বেড়ে যায়। এমনকি প্রেমে পড়লে অতীতের কষ্টকর স্মৃতিও তারা সঙ্গীর সংস্পর্শে এলে সহজেই ভুলে যেতে পারেন।

৪। সামাজের নিয়ম-নীতি এমনকি শত বাঁধা-বিপত্তি মোকাবেলা করে হলেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে জানেন পুরুষরা। প্রেমে পড়লে পুরুষরা সাহসী হয়ে ওঠেন। সব ভয়কে জয় করা শিখে নেন। সঙ্গীকে হারানোর ভয়ে সব সমস্যার সম্মুখীন হতেও প্রস্তুত থাকেন। এমনকি সমাজ বা পরিবার তাদের সম্পর্কের বিষয়ে কে কী বলবে, সে চিন্তাও পুরুষরা করেন না।

প্রেমে পড়লে কি হয়, মেয়েদের ক্ষেত্রে

আর মেয়েদের বেলায় প্রেম হলে –

১। নিজেকে একটু গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। একা একা ঘরের কোনে সময় কাটাতে শুরু করে। উদাস চোখে তাকিয়ে থাকে। আর মাঝে মাঝেই আয়নায় গিয়ে নিজের রূপ দেখে। নিজেকে আরও কী করে নিখুঁত করা যায় তার ফন্দি ফিকির ভাবতে শুরু করে।

২। মেয়েরা প্রেমে পড়লে অত্যাধিক আবেগ প্রবণ হয়ে যেতে পারে। মানে একটু আঘাতেই তাঁদের চোখে জল এসে যেতে পারে।

৩। মেয়েদের প্রেমের আরও একটি লক্ষন হল, প্রেমে পড়লে তাঁরা সখী বা বান্ধবীদের কাছে লুকিয়ে রাখতে পারে না। কিংবা এর উলটোটাও হতে পারে। মেয়েদের চোখ দেখেই মেয়েরা টের পেয়ে যায় কারও প্রেমে কেউ মজেছে কি না। এটা মেয়েদের একটা বিশেষ ক্ষমতাও বলতে পারেন।

Previous articleRomantic Love Sms: কেউ জানেনা এমন সেরা প্রেমের ছন্দ, শুধু আপনার জন্য
Next articleচাকরির খবর: ভারতের সুপ্রিম কোর্টে চাকরির সুযোগ