কলম্বিয়ার এক মহিলা পুলিশকর্মী রয়েছেন, যাঁর প্রেমে হাবুডাবু খাচ্ছেন অগণিত ‘অপরাধী’। ওই মহিলা পুলিশকর্মীর লাস্যময়তায় কাবু হয়ে গিয়েছেন এই ‘ব্যাড বয়’রা। ওই মহিলা পুলিশকর্মীর নাম অ্যালেক্স নারভেজ (Alex Narvaez)। ২৮ বছরের এই তরুণী কিছুদিন আগে পুলিশকর্মী হিসাবে কাজ শুরু করছেন। কিন্তু কলম্বিয়ায় আইন-শৃঙ্খলার রক্ষকের ভূমিকা পালন করার সঙ্গে সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত শখ-আহ্লাদও পূরণ করছেন অ্যালেক্স (Alex Narvaez)।
অনেকের মতে, এমনিতেই যে কোনও ইউনিফর্মে একটা আশ্চর্য ব্যাপার ফুটে ওঠে। সেনা কিংবা পুলিশকর্মীদের ইউনিফর্মে সেটা আরও বেশি আকর্ষণীয় দেখায়। আর সেই সেনা কিংবা পুলিশকর্মী মহিলা হলে তো কথাই নেই। আটো-সাঁটো ইউনিফর্মে তাঁকে আরও বেশি ফ্যান্টাসি ক্যারেকটার দেখায়। আর যদি সেই পুলিশকর্মীর অ্যালেক্সের মতো বডি ফিগার থাকে তাহলে ব্যাড বয়দের বুকে আগুন জ্বলবে এটাই স্বাভাবিক।
পুলিশকর্মী হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের মতো করে ব্যক্তিগত জীবনযাপনে স্বচ্ছন্দ অ্যালেক্স। কিন্তু অ্যালেক্সের বিকিনিরও শখ রয়েছে। তাই পুলিশের উর্দির পাশাপাশি তাঁর পরনে দেখা যায় বিকিনিও। পুলিশকর্মীর এই ‘খুল্লমখুল্লা’ অবতারেই কাবু তাঁর ভক্তরা। ‘টিকটক’-এ বেশ জনপ্রিয় অ্যালেক্স। এই সমাজমাধ্যমে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা ৭ লক্ষেরও বেশি।
ছিপছিপে চেহারা অ্যালেক্সের। বিকিনি পরিহিতা অ্যালেক্সকে দেখে বোঝাই যায় না যে তিনি পেশায় পুলিশকর্মী। বিকিনিতে বেশ স্বচ্ছন্দ অ্যালেক্স। কাজের বাইরে বাড়িতে বিকিনি পরেই একান্তে সময় কাটান তিনি। তার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে টিকটকে।
বিকিনি পরিহিতা অ্যালেক্সকে দেখেই মজেছেন তাঁর অগণিত ভক্তরা। টিকটকে তাঁর বিকিনি পরা অবতার দেখেই বহু ভক্তই নানা মন্তব্য করেন। অনেকে প্রেম নিবেদনও করেন। টিকটকে বিকিনি পরে উষ্ণতা ছড়ান অ্যালেক্স। যা দেখে বুঁদ হয়ে থাকেন তাঁর অনুরাগীরা। এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে অ্যালেক্স নিজে মুখেই জানিয়েছেন যে, তাঁর অনুরাগীরা সকলেই ‘ব্যাড বয়’।
এই ‘ব্যাড বয়’ বা ‘দুষ্টু’ ছেলেদের নজর এড়াতে চান না অ্যালেক্সও। মানে তাঁর প্রতি এই ‘দুষ্টু’ ছেলেদের আকর্ষণ অ্যালেক্সও যে বেশ উপভোগ করেন, তা তাঁর ভিডিয়ো, ছবি দেখলেই আভাস পাওয়া যায়। প্রকৃতপক্ষে, অনেক অপরাধীও যে তাঁর রূপের প্রেমে পড়েছেন, তা-ও জানিয়েছেন তিনি।
অ্যালেক্সের অনুরাগীরা তো তাঁর সঙ্গে এক বার দেখা করতে মরিয়া। কেউ কেউ বলেছেন, ‘‘ওঁর কাছে যাওয়ার জন্য অপরাধ করতেও রাজি।’’ আবার কেউ লিখেছেন যে, অ্যালেক্স যেন তাঁকে হাতকড়া পরান। এক জন তো আবার অ্যালেক্সের ছবি এবং ভিডিয়োর কমেন্টে লিখেছেন, ‘‘আমি দুষ্টু ছেলে।’’
অ্যালেক্সের অপর এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘‘ম্যাডাম, আমি এক জন অপরাধী। আমায় গ্রেফতার করতে পারেন।’’ তবে শুধু বিকিনি পরিহিতা অ্যালেক্সকে দেখেই তাঁর অনুরাগীরা পাগল নন। পুলিশের উর্দিও যখন পরেন অ্যালেক্স, তখনও তাঁকে দেখে মোহিত হয়ে যান ওই ‘দুষ্টু ছেলেরা’।
তন্বী চেহারায় আঁটসাঁট ভাবে পুলিশের উর্দি পরেন অ্যালেক্স। এই অবতারেও লাস্যময়ী লাগে তাঁকে। অ্যালেক্সের কোনও কোনও অনুরাগী আবার তাঁকে এ-ও পরামর্শ দিয়েছেন যে, পুলিশের পেশা ছেড়ে সুপারমডেল হওয়া উচিত। এক জন পুলিশকর্মী হয়ে যে ভাবে নিজের সৌন্দর্যকে মেলে ধরেছেন এবং তাঁর যা অনুরাগীর সংখ্যা, তাতে অ্যালেক্স যেন সুপারমডেলই।